Leptospirosis সংক্রামন থেকে কিভাবে দূরে থাকবেন? How to avoid Leptospirosis.

Leptospirosis রক্তের সংক্রমণ যা Leptospira নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা ছড়িয়ে পরে। সাম্প্রতিক উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জায়গায় এই রোগের প্রদুর্ভাভ দেখা দিয়েছে। এই রোগের মূল উপসর্গ গুলি হল মাথাধরা, গা হাত পা ব্যাথা, খুব বেশি জ্বর, বমি, জন্ডিস, তোলপেটে ব্যাথা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। এই রোগের ঠিক ঠাক চিকিৎসা না করালে কিডনি, লিভার ফুসফুস ক্ষতি হতে পারে এবং রোগীর মৃত্যু হতে পারে। ল্যাবরেটরি তে শরীরের রক্ত ও প্রসাব পরীক্ষার মাধ্যমে সঠিক সংক্রমণ চিহ্নিত করা যায়। প্রতি বছর প্রায় ষাট হাজার থেকে এক লাখ লোক এই রোগে মারা যায়।


Leptospirosis in Bengali Language

কিভাবে Leptospirosis ছড়িয়ে পরে?

  • গবাদী পশুর ও বাড়িতে পালিত পশুর এই রোগ হতে পারে এবং পশুর মল মূত্র থেকে লেপটস্পিরেসিস ছড়িয়ে পড়তে পারে।
  • বিভিন্ন নদী নালা পুকুর এর অপরিষ্কার জল থেকে এই রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
  • খোলা ড্রেন থেকে এই ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে পড়তে পারে।

সংক্রামন থেকে কিভাবে দূরে থাকা যাবে?


  • যে কোনো গবাদী পশুর মল মূত্র থেকে দূরে থাকুন যদি পশুটি Leptospirosis আক্রান্ত হয়। যদি একান্ত প্রয়োজন হয় তবে হাতে গ্লাভস ও পায়ে বুট পরে থাকুন।

  • যে কোন বদ্ধ জলাশয়ে ডুবে স্নান করা থেকে বিরত থাকুন। বন্যার পর ডুবে সাঁতার দেয়া থেকে বিরত থাকুন।

  • গরু, ছাগল বা অন্যান্য পশুর গায়ে হাত দেওয়া হলে পরক্ষনেই সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে। 

  • সাবান দিয়ে সব সময় হাত ধুয়ে খাবার খেতে হবে।

  • যদি আশেপাশে অনেক গবাদী পশু বা অন্যান্য পশু থাকে তাহলে প্রতিরক্ষা মুলক জামা কাপড় ও জুতো পড়তে হবে।

  • যেকোনো জায়গার জলপান থেকে বিরত থাকুন।

Leptospirosis এর চিকিৎসা

উপসর্গ গুলি দেখা দিলে দেরি না করে সরাসরি ডাক্তার দেখান। সঠিক সময়ে এন্টিবায়োটিক এর মাধ্যমে এই রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব।

আক্রান্ত হলে যে খাবার গুলি থেকে বিরত থাকতে হবে


  • দুধ ও দুগ্ধজাতীয় খাবার
  • মিষ্টি ও আইসক্রিম
  • ডিম
  • না ফোটানো খাবার পানীয় জল

বেশিরভাগ সময় Leptospirosis খুব হালকা হয় এবং চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না, কিন্তু শরীরের উপসর্গ গুলি বেশি দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন